জরুরি সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরেই নির্বাচন আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তারা। এই ব্রিফিং আয়োজন করা হয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে, যেখানে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তসহ সমসাময়িক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানানো হয়, ছয়টি জরুরি সংস্কার কমিশনকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কমিশনগুলোর প্রতিবেদন প্রাপ্তির পরই নির্বাচনের পরবর্তী ধাপ চূড়ান্ত হবে।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ যে সংস্কারের জন্য জীবন দিয়েছে, সেই প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার জন্যই কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং অন্যান্য কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জরুরি সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার পরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনসহ অনেক প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।”
সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, স্বাস্থ্য, এবং স্থানীয় সরকারের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলো ৯০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, ইসকন নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “কোনো সংস্থা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের ভেতরে কোনো আলোচনা হয়নি। ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে সংস্থাকে জড়ানো হচ্ছে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করেছে, যা সম্পন্ন করার পরেই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হবে।