প্রকাশের সময়:
বৃহস্পতিবার ৯ মার্চ ২০২৩ ০২:০৭:০০অপরাহ্ন

মার্চে শেষ হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ, বৃদ্ধির আবেদন

চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদকাল। এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ভাই শর্তযুক্ত মুক্তির আবেদন করেছেন। সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। তবে আমার কাছে এখনও আসেনি। ফাইলটি দেখার পর আমি জানাতে পারব।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আমি যেটা মনে করি, আগে যে শর্ত ছিল সেটিই থাকবে। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন আসেনি।’

তিনি বলেন, তার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি আগের শর্তে নেই। তাকে বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে যে সংবাদ এসেছে, তা সত্যি নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে, রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি মামলা ট্র্যাকিং সিস্টেম সলট্র্যাক সফটওয়্যারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনও পাননি।

গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে (ষষ্ঠ দফা) প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদকাল।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় চার বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।



আরও খবর