প্রকাশের সময়:
মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:৫৩:০০অপরাহ্ন

নগরের কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন শিশু পার্ক সিলগালা

নগরের কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন শিশু পার্ক সিলগালা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের এক্সিকিউটিভ অফিসার সাজিয়া তাহেরকে স্থাপনাটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং ও রাকিবুল ইসলাম এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

নু এমং মারমা মং বলেন, শিশু পার্কের জায়গাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে যেসব শর্তে জমিটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল তার ব্যত্যয় ঘটায় শিশু পার্ক সিলগালা করে জমিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল সার্কিট হাউস চত্বরে। এ সার্কিট হাউসে মুক্তিযোদ্ধাদের ইলেকট্রিক চেয়ারে নির্যাতন করা হয়েছিল। এখানেই শুরু হয়েছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার স্লোগানের’ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। সবুজ চত্বরে তৈরি হতো বিজয়মঞ্চ। সেখানে যুদ্ধজয়ের গৌরবগাথা তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করতেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।  

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আগ্রহে ১৯৯২ সালে ১৩ জুলাই ৩ একর জমিতে শিশুপার্ক স্থাপনে সিটি করপোরেশনকে অনাপত্তি দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রতিষ্ঠান ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেডকে ২৫ বছরের জন্য জমিটি প্রথমবার ইজারা দিয়েছিল করপোরেশন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আবার ১৫ বছরের জন্য একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্কের জমিটির ইজারা চুক্তি নবায়ন করে সিটি করপোরেশন।

শিশুপার্কের কারণে নগরের প্রাণকেন্দ্রে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে তীব্র যানজট এবং বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছিল সার্কিট হাউস সংলগ্ন বাণিজ্যিক শিশু পার্কটি বন্ধ করে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত সবুজ চত্বর তৈরির। এ দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছিল অপরাজেয় বাংলা, নাগরিক উদ্যোগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন।  



আরও খবর