অভিযান শেষে ৫ জনকে আটক ও কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়
বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৯:৪৫:০০অপরাহ্ন
টায়ার পুড়িয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তোলা কারখানাটি অবশেষে বন্ধ করলো প্রশাসন

"প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী কারাখানা, অতিষ্ঠ জনজীবন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য" এই শিরোনামে গত ৩০ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয় সি ভিশন মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টালে।
প্রতিবেদনটিতে দেখানো হয়েছিল সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকায় এসকেএম রোডের শেষ প্রান্তে দুই পাহাড়ের মাঝখানে লোকচক্ষুর আড়ালে টায়ার প্যারালাইসিস কারখানা স্থাপন করে পরিবেশের অপূরনীয় ক্ষতি করে আসছিল এস এস ইন্ডাস্ট্রি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের এসকেএম এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই পরিবেশ দূষণ করে যানবাহনের পুরোনো টায়ার পুড়িয়ে ফার্নেস অয়েল উৎপাদন করছিল এস এস ইন্ডাস্ট্রিজ নামে টায়ার পোড়া কারখানা। এতে ওই এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে। ঝুঁকিতে পড়ে জনস্বাস্থ্য। টায়ার পোড়ানোর কালো ধোঁয়া ও কালো পাউডার আশেপাশের এলাকার পাহাড়, ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। দূষণ-কবলিত হয় কৃষিজমি ও পাহাড়ি ঝিরি।
সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কারখনাটিতে অভিযান পরিচালনা করে বন্ধের নির্দেশ দিলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখে এস এস ইন্ডাস্ট্রিজ।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার সকালে কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই চট্টগ্রাম বিভাগের ফিল্ড অফিসার ইকবাল আহমেদ ও ইন্সপেক্টর মোঃ মুকুল।
এসময় তারা দেখতে পান পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করেই চালু রাখা হয়েছিল কারখানাটি।
অভিযান শেষে ৫ জনকে আটক ও কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয় বলে জানান শাহাদাৎ হোসেন।এসময় টায়ার পোড়া কারখানাটির জায়গার মালিক খায়রুল বশর চৌধুরীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।