শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:২০:০০অপরাহ্ন
মারা গেছেন আল-শিফা হাসপাতালের আইসিইউর সব রোগী
অবরুদ্ধ গাজার আল শিফা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) কোন রোগীই আর বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া রয়টার্সকে জানান, ফিলিস্তিনে প্রতিমুহূর্তে একজন করে মারা যাচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের আইসিইউর আর কোনো রোগীই বেঁচে নেই।
হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর চিকিৎসা কার্যক্রমে বাধার কারণে আইসিইউ, এনআইসিইউরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পর রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। যদিও চিকিৎসকরা এখনও রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে খাবার, পানি ও বিদ্যুতের অভাবে চিকিৎসাসেবা কোনোভাবেই ঠিক রাখা যাচ্ছে না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধ করে রাখার কারণে, মৃতদেহগুলোকে হাসপাতালের মধ্যেই গণকবর দিতে হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালের অবস্থা নিষ্ঠুর ও বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২৫টি হাসপাতাল ও ২৫০ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্স। ৯৫ হাজারেরও বেশি সরকারি স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে বলে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গাজার খান ইউনিস এলাকার কয়েকটি শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ের উদ্দেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দখলদাররা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, জিম্মি করা হয় ২৫০ জনকে। এরপরই পাল্টা প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি মারা গেছে যার এক তৃতীয়াংশই শিশুই।